
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : বৃহষ্পতিবারের দুপুরেরদিকে পাড়ায় পা রাখা মাত্রই দুর্নীতির আঁচ পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা ৷ শাসকদলর এই দুর্নীতি নিয়ে বিস্তর নালিশ জানিয়েছিলেন ঝাঁ চকচকে বিটুমিনের জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বসতি । হারুন শেখ (নাম পরিবর্তিত) কেন্দ্রীয় বাবুদের আকুতির সুরে বলেছিলেন, দিল্লি থেকে এতটা পথ যখন এসেইছেন, তখন দয়া করে গ্রামের ভিতরে ঢুকুন৷ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলুন৷
হারুনের সেই পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে লক্ষীবারের সকালেই বিরোধী দলনেতার খাসতালুকে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন প্রতিনিধি দল৷ দিঘার একটি সরকারি আবাসনে উঠেছেন ৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল৷ দুর্নীতির বহর খতিয়ে দেখতে এদিন সকালেই দিঘার নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়ক ধরে রওনা দেন প্রতিনিধি দল।
বস্তুত, বৃহস্পতিবার এলাকায় পৌঁছেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ও খেজুরির বিস্তীর্ণ এলাকা খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। দুর্নীতির প্রসঙ্গে অবশ্য এখনই মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা৷ রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বিস্তর নালিশ সামনে এসেছে৷ এমন প্রসঙ্গে প্রকৃত উপভোক্তারা কতটা সহযোগিতা পেয়েছেন তা তদারকি করতেই প্রতিটি জেলায় এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল৷
শুক্রবার সকালে মালদহের কালিয়াচক-৩ ব্লকের চরিঅনন্তপুর , কামারপুর গ্রামে বেশ কিছু দুঃস্থ মানুষদের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কর্তারা । কথা বলেন আবাস যোজনা প্রকল্পের আবেদনকারীদের সঙ্গে।
কতদিন আগে উপভোক্তারা আবেদন করেছিলেন এবং কি কারণে তাঁদের এই প্রকল্পে এখনও সুবিধা মেলেনি সেই সব বিষয় নিয়েও কেন্দ্রীয় কর্তারা কথা বলেন সাধারণ গ্রামবাসীদের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারাও।