
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক,দুর্গাপুর : প্রায় ৩০ বছর আগে ছোট্ট গুমটি দোকান শুরু হয়েছিল , সেই কারনে জায়গার নামও হয়েছিল রায়গুমটি। দুর্গাপুরের ২৩ নং ওয়ার্ডে এই রায়গুমটিতেই ছিল গোটা চারেক গুমটি দোকান , তাতেই ভর করে পেট চলত গুটি কয়েক পরিবারের। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের জমিতেই ছিল এই গুমটি দোকানগুলি। গোটা শহর জুড়ে এডিডিএর বেদখল হয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধারের কর্মসূচীতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভাঙ্গা পড়ে এই গুমটিগুলি। অথৈ জলে পড়ে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজনেরা। এলাকার তৎকালীন পুরপিতা দেবব্রত সাঁই শরনাপন্ন হন এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস ব্যানার্জীর। তাপস বাবু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ওখানে পাকা দোকান করে দেবেন। বছর খানেকের ভেতরই ওই স্থানে মোট ২৪টি স্থায়ী দোকান করার পরিকল্পনা নেয় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
এদিন সেই প্রকল্পেরই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মোট ২৪ টি দোকান তৈরীর কাজ শুরুর মুখে এবং খুব শীঘ্রই তা শেষও হবে। তাপস বাবু জানান যে এখানে দোকান করার পেছনে এলাকার মানুষের সদিচ্ছা কাজ করেছে। বেশ কিছু বেকারের কর্মসংস্থান হবে । তিনি আরও বলেন যে শহর জুড়ে এডিডিএ বে আইনী নির্মান ভেঙ্গে দিলেও কয়েকদিনের মধ্যে ফের সেখানে দোকান তৈরী হয়ে যায় , কিন্তু রায়গুমটি ব্যাতিক্রম , এখানকার মানুষেরা এডিডিএর প্রতি আস্থা রেখেছে,কোন বে আইনী নির্মান করেনি , আইনের মর্যাদা দিয়েছে।
এবার স্থায়ী দোকান হওয়াতে খুশী দীর্ঘ ৩ দশক ধরে গুমটি চালানো ব্যবসায়ী অর্চিত মন্ডল। তিনি অপেক্ষা করছেন কবে দোকান হাতে পাবেন ও ফের ব্যবসা শুরু করে সংসারে সুদিনের মুখ দেখতে পাবেন।