
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: অন্ডাল থানার মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্ডাডিহি গ্রামে শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে গভীর ধস।রবিবার ভোরে ধসের বিষয়টি নজরে আসার পরোই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।অভিযোগ পাওয়ার পর, ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার আধিকারিক ও কর্মীরা পৌছে ধস কবলিত স্থানটি মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন।ইসিএলের গাফিলতিতেই এই ঘটনা অভিযোগ বাসিন্দাদের।
গ্রামবাসী জিয়াউল রহমান জানান, আমাদের গ্রাম কয়লাঞ্চল এলাকার অন্তর্গত এবং ধস কবলিত এলাকা বলেই পরিচিত।গ্রামের চারপাশে রয়েছে বৈধ অবৈধ বহু ভূগর্ভস্থ মাইন ও ওসিপি।বৈধ-অবৈধ খনির খননের কারণে এলাকাটি ফাঁপা হয়ে পড়েছে।এখানকার প্রশাসন হোক বা তৃণমূলের নেতারা, সকলেই বেআইনি কাজে জড়িত।যার একটি উদাহরণ হল টিএমসি নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রামের কাছে বেআইনি কয়লা খনন চলছিল।ঘটনার পর আবারও খাদ্য সরবরাহের সময় মাটি ভরাট করে অবৈধ খনি বন্ধের কাজ শুরু করে ইসিএল। জিয়াউলসাহেব বলেন, পাশের গ্রাম হরিশপুর যেভাবে ধসের কবলে পড়ে আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাস করছেন সেখানে।দু’বছর ধরে প্রশাসন তথা ইসিএল এর আধিকারিকদের দরজায় দরজায় ঘুরেও মেলেনি পুনর্বাসন। ঠিক সেই হরিশপুর গ্রামের মতো আমাদের গ্রামও যেতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।গ্রামে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, তলিয়ে গেলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।এখানে যত্রতত্র জমি ফাঁপা,যেকোনো সময় তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।তিনি এও বলেন, যেখানেই ধস হয় ইসিয়েল আধিকারিকরা এসে সেই ধসকবলিত জায়গা মাটি ভরাট করে দিয়েই দায় সারেন। কিন্তু ধসের আতঙ্ক থেকেই যায়।
রাজ্য সরকার হোক বা ইসিএল প্রশাসন, কেউই ধস নিয়ে চিন্তিত নয়। এই সমস্যা সম্পর্কে কোন দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।ধসের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে দিনযাপন করার থেকে ইসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্বাসন দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে দিন ।
অন্যদিকে এলাকার তৃণমূল নেতা অজয় পাত্র বলেন, বৈধ বা অবৈধ খনির কোন কিছুর সাথেই তৃণমূলের যোগাযোগ নেই তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বলেন, যারা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন তাদের কাছে যদি প্রমাণ থাকে সেটা দিয়ে দেখাক।