
সৈয়দ মফিজুল হোদা , বাঁকুড়া : সোনামুখী কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে বাঁকুড়ার ৩টি ব্লকে মোট ১০ হেক্টর জমিতে করা হচ্ছে প্রাকৃতিক কৃষির মাধ্যমে সবজি ও মশলার চাষ৷ মূলত সোনামূখী, পাত্রসায়ের, ও বড়জোড়া ব্লক এই চাষের অন্তর্গত৷
প্রাকৃতিক কৃষি রাসায়নিক মুক্ত, ভারতীয় সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে গবাদি পশু ও স্থানীয় উপাদানের উপর নির্ভরশীল চাষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতি আমাদের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করে এবং চাষিভাইদের বহিরাগত উপাদানের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করে । বড়জোড়া ব্লকের ভ্রমর বেনু , কৌশিক পাত্র দের মতে এই পদ্ধতিতে নামমাত্র খরচে খুবই পুষ্টিকর ও উন্নতমানের সবজি যেমন ব্রকোলি, হলুদ ও বেগুনি ফুলকপি, টমেটো, লেটুস তৈরী করছি আমরা।
সোনামুখী কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও উন্নত মানের ছাড়া পেয়ে খুবই উপকৃত। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের এগ্রিকালচার ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট ইয়ার মহম্মদ বলেন যে, এই পদ্ধতি জৈব চাষ থেকে অনেক আলাদা, এখানে কোন ধরনের বাইরের উপাদান ব্যবহার হয় না। এখানে জব উপাদান মূলত ধানের খড় বা শাল পাতার মাধ্যমে আচ্ছাদন , বিভিন্ন প্রজাতির সবুজ ঘাসের চাষ, প্রত্যেক মরশুমে সবুজে ঢাকা জমি, দেশি গরুর গোবর ও গোমূত্র এর সাথে বিভিন্ন ভেষজের সংমিশ্রনে তৈরী বীজশোধক , কীটনাশক , জীবাণুনাশক, সার কে গুরত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রাকৃতিক কৃষির মাধ্যমে মাটির অণুজীবের সংখ্যা বাড়ে, কেঁচোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় যার মাধ্যমে মাটির প্রাকৃতিক পুষ্টিগত উপাদান এর পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়, মাটির জল ধারণ ক্ষমতা বাড়ে ও সর্বোপরি মাটির জৈবিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যাতে আমাদের জেলার চাষভাইরা অনেক উপকৃত হবেন।সোনামুখী কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কার্যকরী সঞ্চালক ডঃ মৌমিতা দে গুপ্তা জানান, আগামী দিনও ধারাবাহিকভাবে কৃষকদের আর্থিক শ্রী বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াস চলবে ।