৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: পোস্তায় ব্য়বসায়ীদর ৭২ লক্ষ টাকা জালিয়াতির ঘটনার তদন্ত শুরু করল লালবাজারের গোয়েন্দা দফতর।তদন্তে নেমে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন সিম কার্ড ক্লোন করেই ব্যবসায়ীর সাড়ে ৭২ লক্ষ টাকার জালিয়াতি। কীভাবে জালিয়াতরা সিম কার্ড ক্লোন করেছে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ব্যাপারে নবরত্ন ঝাওয়ার নামে পোস্তার এলাকার এক সর্ষের তেলের ব্যবসায়ী এই অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁর কাছ থেকে এক সর্ষে বিক্রেতা ২২ লক্ষ টাকা পেতেন। তিনি একটি চেক লিখে তাঁকে দেন। সেই চেকটি বাউন্স করে। একটি বেসরকারি ব্যংকের বড়বাজার শাখায় যথেষ্ট টাকা থাকা সত্ত্বেও চেক বাউন্স করায় তিনি হতবাক হয়ে যান। সেদিনই ব্যাংকে যান। ক্রমে ব্যবসায়ী বুঝতে পারেন, তাঁর অজান্তে প্রথম দিন ৬ বারে ৪৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ও দ্বিতীয় দিন তিন বার লেনদেনে ২২ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অনলাইন আরটিজিএস-এ ন’টি লেনদেনের মাধ্যমে তোলা হয়েছে ৭২ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। ব্যাংকের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ জানাতে তিনি প্রথমে জোড়াবাগান থানায় যান। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় পোস্তা থানায়। পোস্তায় হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজারের গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেন। গোয়েন্দারা তদন্ত করে জানতে পারেন যে, একটি বেসরকারি ব্যাংকের কাঁথি ও ডানলপ শাখা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উত্তরপাড়া শাখায় তিন গ্রাহকের মাধ্যমে তোলা হয়েছে পুরো টাকা।
অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়ার কারণেই ব্যাংকের কেওয়াইসি দেখে মোবাইল নম্বর বা ঠিকানা পেলেও আসল জালিয়াতের হদিশ পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ব্যাংক দু’টির সিসিটিভি পরীক্ষা করছেন গোয়েন্দারা। এর আগে কলকাতায় সিম কার্ড ক্লোন করার মতো ঘটনা ঘটলেও তা সংখ্যায় কম। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান কোনও টুল ব্যবহার করে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। কী পদ্ধতিতে ওই ব্যবসায়ীর সিম কার্ড ক্লোন করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
