
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক, আসানসোল : স্থায়ীকরণের দাবিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বিজেপির আন্দোলন, আসানসোলে ধুন্ধুমার কাণ্ড।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাবি দাওয়াকে কেন্দ্র করে বিজেপি যুব মোর্চার আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আসানসোল। সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবি দাওয়াকে সামনে রেখে বিজেপি নেত্রী ইন্দ্রাণী আচার্যের নেতৃত্বে পুলিশ কমিশনারের দফতরের সামনে ধর্ণা কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী সমর্থকরা। বিরোধী দলের এই কর্মসূচি ঘিরেই আসানসোলের বিএনআর মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিএনআর মোড় থেকে পুলিশ কমিশনারের দফতরের উদ্দেশে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মিছিল শুরু করতেই তাদের আটকায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। খানিক পরে ধস্তাধস্তি শুরু হতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সময় বেশ কিছু আন্দোলনকারী বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে গাড়িতে ওঠেন যুবমোর্চা কর্মী সমর্থকরা। খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর থেকে বিজেপির নেতা কর্মীরা ছুটে আসেন আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ফাঁড়িতে। তারা অ্যারেস্ট মেমো দেখতে চান। এই নিয়ে থানার ভেতরেও বচসা বাঁধে। প্রতিবাদী গান গাইতে শোনা যায় আটক হওয়া বিজেপি যুব মোর্চার নেতা কর্মীদের। অন্যদিকে, থানার বাইরেও স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। সবমিলিয়ে বুধবার দিনভর অস্বস্তিতে থাকলো পুলিশ প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, বিজেপি যুব মোর্চার এই কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত ছিল। বিজেপি যুবমোর্চার এই আন্দোলনের কথা মাথায় রেখেই বিএনআর মোড়ে প্রচুর পরিমাণে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। নামানো হয়েছিল র্যাফ।
পুলিশের দাবি, বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির অনুমতি না মেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তাই পুলিশ বাধা দেয় আন্দোলনকারীদের।