
দিব্যেন্দু ঘোষ,৯৯ বাংলা নিউজ: বয়স সেটা সংখ্যা মাত্র। নয় নয় করে চুরানব্বই পার! কিন্তু টিনটিন তো চিরসবুজ! জন্মদিনে বাকি সকলে বুড়ো, টিনটিন যেন চির কুমার। এভারগ্রিন টিনটিন এখন মাতাচ্ছে গোটা বিশ্ব।
মায়াবী চোখ, ছিপছিপে চেহারার সোনালি চুলের বেলজিয়ান রিপোর্টার কী যেন এক জাদুবলে প্রায় একশো বছর ধরে মায়ায় বেঁধে রেখেছে বিশ্ববাসীকে। সর্বক্ষণের সঙ্গী স্নোয়ী, বাংলায় আদুরে কুট্টুস!
দর্শক টানতে রুপোলি পর্দায় দেখা মিলেছে একাধিক কাটুন চিত্তের। ১৯২৯ সালে রেমি হার্জের হাত ধরে বিশ্বের কমিক সাহিত্যে টিনটিনের জন্ম। ‘ল্য ভাঁতিয়েম সিয়েকল’ নামক একটি বেলজিয়ান সংবাদপত্রে ফরাসি ভাষায় সর্বপ্রথম এই সিরিজের আত্মপ্রকাশ ঘটে।তারপর থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে মিস্টার টিনটিন।
ধারাবাহিকভাবে মোট চব্বিশটি অ্যালবামে প্রকাশিত এই সিরিজটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। টিনটিনকে নিয়ে চলচ্চিত্র ও নাটকও নির্মিত হয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। মোট ৫০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত টিনটিনের বইয়ের কপি বিক্রির সংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। উনবিংশ শতাব্দীর টিনটিন এখন বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
প্রজন্মের পর প্রজন্মের শৈশবের সঙ্গে সমার্থক হয়ে উঠেছে টিনটিনের নাম। চুরানব্বইয়ের জন্মদিনে এই এভারগ্রিন টিনটিনকে শুভেচ্ছায় ভরিয়েছে নেটিজেনরা