
রুম্পা রায়, ৯৯ বাংলা নিউজ, পুরুলিয়া: পরিকল্পিতভাবে DYFI যুবনেতার উপর গুলি চালানো হয়েছে। এই অভিযোগে বান্দোয়ানের কুঁচিয়া মোড়ে রাস্তার ওপর বসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল সিপিএম। বান্দোয়ানের বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা শম্ভু সিং জানান, এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে শান্ত রয়েছে।এক সময় এই এলাকায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। বিরোধীরা বিভিন্নভাবে আমাদেরকে দমানোর চেষ্টা করছে। নির্বাচন আসছে নির্বাচনের আগে এলাকাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা মানুষ মেনে নেবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ বান্দোয়ানের কুঁচিয়া দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন DYFI যুব নেতা কৃষ্ণপদ টুডু । ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই গ্রামবাসীদের তৎপরতায় বান্দোয়ান থানার পুলিশ আগ্নেয়াস্ত সহ ধরে ফেলে তিন দুষ্কৃতীকে। অভিযোগ এরপরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ঘটনার পিছনে টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়ার মতো উঠে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভিডিওতে দেখা যাবে যায় ধৃত এক দুষ্কৃতী জানায় কৃষ্ণপদ টুডুকে নাকি সে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল চাকরি করিয়ে দেওয়ার জন্য, চাকরি না হওয়ায় অনেকদিন ধরে তাগাদা দেওয়ার পরও টাকা ফেরত না পাওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধৃতদের একজন জানিয়েছে।
যদিও হাসপাতালের বেডে শুয়ে কৃষ্ণপদবাবু দাবি করেছেন, তদন্তের দিক পরিবর্তনের জন্যই এমন রটানো হচ্ছে। অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার ইতিমধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন ওই দুষ্কৃতীদের তোলা হয় পুরুলিয়া জেলা আদালতে তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজত নিয়ে সত্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে। কিন্তু যুব নেতার উপর ধৃত ব্যক্তি দোষারোপ করায় সঠিক তদন্তের দাবিতে রাস্তা অবরোধে সামিল হলো স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব।এখন কৃষ্ণপদ বাবু অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।বর্তমানে তিনি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বান্দোয়ান তথা জঙ্গলমহল জুড়ে।গুলি কাণ্ডে ধৃত তিন জনের নাম সম্ভুনাথ হেমব্রম, কার্তিক সিং এবিং অশোক তন্তুবায়।শনিবার তাদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনজনকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান এই ঘটনায় কোন মাওবাদী যোগ নেই নেই কোন রাজনৈতিক যোগও পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।