
আসানসোল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারই সাংবাদিকদের কাছে যোশীমঠের সঙ্গে রানিগঞ্জ কয়লাখনি এলাকার তুলনা টেনে একটা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আসানসোল রানিগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চলের তিন জায়গায় বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার সকাল থেকে যে তিন জায়গায় ধস হয় তার মধ্যে রয়েছে আসানসোলের ভানোড়া খোলামুখ খনি বা ওসিপি, রানিগঞ্জ বিধানসভার হরিশপুর ও হিরাপুর থানার বার্ণপুরের নরসুমদা কোলিয়ারির ছোটদিঘারি গ্রাম।
তিন জায়গাতেই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে ইসিএল ও ডিজিএমএস বা ডিরেক্টর জেনারেল অফ মাইনস্ সেফটির অফিসারদের। মূলত এই তিন জায়গাতে কয়েকশো বাসিন্দা ধস ও ফাটলের কারণ এলাকা ছেড়ে রয়েছেন। কিছুমানুষ এলাকায় রয়েছেন নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করলে বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। আজই তার প্রতিফলন দেখা গেল কয়লাখনি এলাকা গুলিতে। এদিন কোলিয়ারীর আধিকারিকদের উপর বিক্ষোভ দেখায়।
ভানোড়া খোলামুখ খনি সংলগ্ন এলাকা, হরিশপুর ও নরসুমদা কোলিয়ারির ছোটদিঘারি গ্রামের গিয়ে এদিন দেখা গেলো একই ছবি। বাড়িতে ফাটল। মন্দিরে ফাটল। রাস্তায় যত্রতত্র ফাটল। পুকুরের জল মাটির তলায় চলে গেছে বা জল কালো হয়ে পানের অযোগ্য হয়ে গেছে এমনটাই অভিযোগ তুলে সরব হয় স্থানীয়রা।