
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: খাদ্য সামগ্রীর তীব্র ঘাটতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। ফলে রীতিমতো দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। বাগ এবং মুজাফফরাবাদ সহ অনেক এলাকা আটার তীব্র সংকটের সম্মুখীন বাসিন্দারা। মানুষ খাদ্যের তীব্র সংকটের জন্য শুধুমাত্র ইসলামাবাদ এবং পিওকে সরকারকে দায়ী করছে। অবস্থা এমন যে একদিকে সরকারিভাবে ভর্তুকি দেওয়া গমের সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। দোকান ও মুদি দোকানে রান্নার জিনিসপত্র ফুরিয়ে যাচ্ছে। গমের আটার ঘাটতি, রুটি ও বেকারি জিনিসের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার।
এই আশাহীন পরিস্থিতি নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গত কয়েকদিনে এলাকায় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এই অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। মুজাফফরাবাদের এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, “আমাদের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। এই প্রতিবাদের পরিধিও বাড়তে পারে, যেতে পারে এক জেলা থেকে আরেক জেলায়। আমরা পুরো পিওকেতে প্রতিবাদ করতে পারি। দরিদ্র মানুষ যদি রুটির জন্য আকুল হয়ে থাকে তার জন্য সরকার দায়ী। এটা সরকারের দায়িত্ব।” কেউ কেউ বলেছেন যে, গম হল পিওকে-তে মানুষের খাদ্যের প্রধান অংশ এবং তাদের এই প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত করলে বিপর্যয়কর পরিণতি হতে পারে। স্থানীয় লোকজন বলেন, এটি তাদের মৌলিক চাহিদা ও জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করছে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে এবং আমরা অসহায়। সরকার আমাদের কোনো সাহায্য করছে না। এ কারণে আমাদের হোটেলগুলো পুরোপুরি বন্ধ করতে হয়েছে। আমরাও বাধ্য। ময়দা ও ঘি অনেক বেশি এবং আকাশছোঁয়া দামের সঙ্গে লড়াই না করে আমরা হোটেল বন্ধ করাই ভালো বলে মনে করেছি এবং আজও সেই অবস্থাই রয়েছে’।