
কৌশিক বসু,কাঁকসা : শুক্রবারের ধর্মঘটের জেরে থমকে গিয়েছিল পঠনপাঠন,আসেনি বেশীরভাগ শিক্ষক শিক্ষিকা। শনিবার স্কুলে আসতেই অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সেই সব শিক্ষক শিক্ষিকা। কাঁকসার মলানদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবারের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে না দিয়ে গেটের সামনে তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকদের একাংশ। ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ।
শুক্রবার বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা প্রদান সহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে সরকারী কর্মচারীদের একাংশ ধর্মঘটের ডাক দেয়। দু-একটি ব্যাতিক্রম ছাড়া ধর্মঘটের জেরে অধিকাংশ স্কুল খোলা থাকলেও বন্ধ ছিল পঠনপাঠন। মলানদিঘীর দুর্গাদাস বিদ্যামন্দিরও তার ব্যতিক্রম নয়। টিফিনের পর এখানেও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । শনিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের বিরূদ্ধে রীতিমত পোস্টার পড়ে স্কুলের দেওয়ালে। অভিভাবক বিভাস ঘোষ প্রশ্ন তোলেন যে শিক্ষকরা যদি নিজেদের টাকা বাড়ানোর জন্য ধর্মঘট করেন , তাহলে শ্রমিকদের সাথে তাদের ফারাক কোথায়? সমাজ গড়ার কারিগররা যদি এই ভূমিকা পালন করে,তাহলে ছাত্ররা কি শিখবে,প্রশ্ন এই অভিভাবকের। এই একই বয়ান পোস্টারে লিখে সেই পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয় স্কুলের দেওয়ালে। কেন পঠন পাঠন বন্ধ রাখা হল , তা নিয়ে শিক্ষকদের সাথে বচসায় জড়ান অভিভাবকরা।


প্রধান শিক্ষক শোভনলাল সাহা অবশ্য বলেন যে কিছু শিক্ষক তাদের অধিকারের লড়াইয়ে আন্দোলনে যোগ দিলেও পঠন পাঠনের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধে হয়নি, এমনকি মিড ডে মিলও যথারীতি হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভবিষ্যতে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেবেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক।

অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তেজনার আঁচ ছড়ায় স্কুল চত্বরে। ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ এসে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রন করে।