
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক : বাঙ্গালী নাকি কথায় কথায় “মুরগি” বানায়, আদি অন্ত কাল ধরে এই প্রথা চলে আসছে। কাউকে সহজে বোকা বানানোর পন্থাই নাকি “মুরগি”। এহেন এক নিরীহ জীব কেন যে এই প্রক্রিয়ার সাথে জুড়ে গেল , কোন গবেষনাতেই তার উল্লেখ নেই। তবুও সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলছে “মুরগি” বানানোর খেলা। অথচ সেই বাঙ্গালীকেই দেখুন মাথার চুল থেকে পায়ের নোখ পর্যন্ত মুর্গিতে ডুবে আছে। কষা, ঝোল , সেঁকা , পোড়া , সবেতেই স্বাচ্ছন্দ বাঙ্গালী। বাঙ্গালীর পাতে উজ্জ্বল উপস্থিতি জানান দেয় সব মরসুমেই , সব উৎসবেই “মুরগি” আছে , থাকবে । বিশেষ করে গত কয়েক দশক ধরে বাঙ্গালী হয়েছে স্বাস্থ্য সচেতন , ফলে রেড মিট ছেড়ে এখন “মুরগি” ই ভরসা। তাও নাকি লোককে বোকা বানানোর নাম “মুরগি”! ভাবুন একবার , আগুনে পুড়ে , সেঁকে , মশলায় মাখিয়ে কষে নিজের গুষ্টির পিন্ডি চটকে এই মুর্গিই যখন পাতের শোভা বাড়ায় , তখন তাকে নাকি “বোকা” সাথে তুলনা! আরে মিনিমাম “রেস্পেক্ট” টুকু তো দেওয়া উচিৎ নাকি ! “আপনি থাকছেন স্যার ” থুড়ি ম্যাডাম , আজ আপনাদের দিবস , জাতীয় মুরগি দিবস।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের তরফে এই বিশেষ দিনটি বেশ সাড়ম্বরেই পালিত হয়। ২০১১ সালে তৃণমূল শাসন ক্ষমতায় আসার পর পোল্ট্রি ফেডারেশনের যাত্রা শুরু হয়। প্রানী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান তখন মুরগির উৎপাদন ছিল ০.৩৪ মিলিয়ন টন , ডিমের উৎপাদন ছিল ৬০০ মিলিয়ন। আজ মুর্গির উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২.৫ মিলিয়ন টনে ও ডিমের উৎপাদন ৩৫০০ মিলিয়ন। অর্থাৎ বাঙ্গালী আর আজ শুধু “দুধে ভাতে” যে নেই , পরিসংখ্যানই তা জানান দিচ্ছে। পোল্ট্রি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নানান রেসিপি সহ একটি বুকলেটও বিনামূল্যে বিতরন করা হয়।

বাঙ্গালী থাকুক মুরগির রসে বসে , সঙ্গে থাকুক “মুরগি” বানানোর শিল্পও। কিন্তু কেন “মুর্গা দিবস” হয়না , এ প্রশ্ন অবান্তর! কিংবা “ডিম আগে না মুরগি আগে” , তাও নিতান্তই বালখিল্যতা। মোদ্দা কথা পোল্ট্রি ফেডারেশনের জয়যাত্রা এগিয়ে চলুক বাঙ্গালীর বদান্যতায়। রেড মিটের মাথায় পড়ুক বাজ , জাতীয় মুরগি দিবস , জিন্দাবাদ।
