
সৈয়দ মফিজুল হোদা, বাঁকুড়া:- বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া কদমা গ্রামের মণ্ডল পরিবারে এখন বিয়ে বাড়ির ব্যস্ততা। সম্পন্ন হয়ে গেছে প্যাণ্ডেলের কাজ। অনেকে কূটম্ব আত্মীয় এসে যাওয়াতে গম গম করছে পুরো বাড়ি। এখন অনেক কটুম্বের আসাও বাকি। এর মাঝেই বড় সমস্যায় পড়েছে মন্ডল পরিবার।আজ বিয়ে বাড়ির আসর। কিন্তু হাতির পাল নিয়ে এখন চিন্তা বাড়িয়েছে মন্ডল পরিবারে। গ্রামের অদুরে ঘাটি গেড়ে রয়েছে পাল পাল হাতি। বেশ কয়েকদিন আগেই গ্রামেও ঢুকে পড়ে হাতির দল। এখনও গ্রামের রাস্তায় ও মাঠে হাতির পায়ের ছাপ স্পষ্ট। কয়েকদিন আগেই বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় রেঞ্জ এলাকায় জোড়া মৃত্যুর হয়েছে । তারপর থেকেই প্রতিদিন নিয়মিত বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে বাড়ি ঘর ভাঙ্গছে হাতির পাল। আবার কোন গ্রামে ফসলের ক্ষেতে ঢুকে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে গজরাজ বাহিনী। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়ছে কোদমা গ্রামের মণ্ডল পরিবারে। যদি বিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে হাতির পাল। যদি হাতির ভয়ে নিমন্ত্রিত অতিথিরা না আসতে পারে। শুধু এই চিন্তায় এখন অস্থির মন্ডল পরিবার। এখন জোড়া বিয়ে কিভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে চিন্তায় পরিবার। বিয়ে বাড়ি যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় তার আবেদন নিয়ে বনদফতরের দ্বারস্থ এখন মন্ডল পরিবার। বনদফতরের কাছে হাতি গুলিকে অন্যত্র সরানোর দাবি করেছেন পরিবার। বনদফতরের তরফে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
পাত্রীর মা রিঙ্কু মন্ডল বলেন, আজ আমার মেয়ের বিয়ে। কিন্তু হাতির দল বিভিন্ন সময় গ্রামে ঢুকে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে ,আর সেই নিয়েই চিন্তিত আমরা। বিয়েবাড়ির আয়োজনের কাজ প্রায় সম্পন্ন। তাই যাতে এই বিয়ে বাড়ি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় ,সেই জন্য বনদফতরের কাছে আবেদন জানায়, কারণ এই হাতির ভয়ে,অনেক আত্মীয়রা এইখানে আসতে ভয় পাচ্ছে।
এই বিষয়ে বেলিয়াতোড় রেঞ্জ অফিসার মইবুল ইসলাম জানান, এই হাতির ভয়ে চারিদিকে এখন আতঙ্কিত। যাতে এই হাতির আতঙ্কিত কাটানো যায় এবং বিয়ে বাড়ি সুষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ হয় সেই জন্য স্পেশাল টিম রয়েছে এবং নিয়মিত নজরদারি রাখা হচ্ছে।