
মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য

৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক : নয়া ব্লক সভাপতি ঘোষনার পর থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দের ধিকিধিকি আগুন জ্বলছিল কাঁকসায়। তারই বিষ্ফোরন ঘটল বৃহষ্পতিবার ভাইফোঁটার দিন । কাঁকসার গোপালপুরে বর্তমান ব্লক সভাপতি ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধে আহত হল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রমেন্দ্রনাথ মন্ডল সহ ৩ তৃণমূল কর্মী। আহতরা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এই ঘটনার পর থেকেই থমথমে রয়েছে গোটা এলাকা । যদিও গোষ্ঠীদন্দ্বের খবর অস্বীকার করেছেন নয়া ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন যে যারা দল ভাঙ্গিয়ে রোজগারের ফন্দি খোঁজে , তারা কখনও তৃণমূল নয় , তারা আদতে দুষ্কৃতী। তিনি পুলিশকে বলেছেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ।
ঘটনার সুত্রপাত বৃহষ্পতিবার সকালে। গোপালপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় একটি দোকানের চাতাল তৈরী করাকে নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। যে চাতালকে ঘিরে অশান্তি , সেই চাতালের অনুমতি দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রমেন্দ্রনাথ মন্ডল। যিনি এলাকায় প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সীর অনুগামী বলে পরিচিত। তিনি বলেন যে কাজ শুরুর কিছুক্ষনের মধ্যেই তাদের ওপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী , যাদের হাতেও ছিল তৃণমূলের পতাকা। তাঁর অভিযোগ যে হামলাকারীরা প্রত্যেকেই বর্তমান ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য্যের অনুগামী। তিনি জানান যে এই চাতাল তৈরীর অনুমতি দেওয়ার জন্যই তাঁর ওপর পরিকল্পিত হামলা চালায় ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। সকাল থেকে শুরু হওয়া এই গোষ্ঠীদ্বন্দ সন্ধ্যেতেও গড়ায় । এদিন সন্ধ্যেয় রমেন্দ্রনাথের গোষ্ঠী পাল্টা হামলা চালায় ব্লক সভাপতির অনুগামীদের ওপরে। এই ঘটনায় আহত অপর এক তৃণমূল কর্মী , যিনি ব্লক সভাপতির অনুগামী , সেই সুরজ বিশ্বাস জানান যে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রমেন্দ্রনাথ মন্ডল বিভিন্ন অবৈধ কাজের সাথে যুক্ত। বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কাটমানি নিতেন রমেন্দ্রনাথ , যার প্রতিবাদ করাতেই বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় রমেন্দ্রনাথ মন্ডল ও তার অনুগামীরা ব্যাপক মারধোর করে তাকে। এই মর্মে কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরূদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রমেন্দ্রনাথ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোটা ঘটনায় শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ যথেষ্ট অস্বস্তি বাড়িয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের তা বলাইবাহুল্য।