
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট৷ চাকরি থেকে ঘর শাসকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে গলার শিরা ফোলাচ্ছে বিরোধীরা৷ এমন আবহে মমতা বন্দ্যেপাধ্যয়ের জনমুখী প্রকল্পের প্রচারে গ্রামে গ্রামে ‘সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে হাজির দিদির দূতেরা৷ গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে চলছে শাসকের নয়া কর্মসূচি৷ সামনে আসছে ক্ষোভ বিক্ষোভের ছবি৷ এরই মাঝে মকর সংক্রান্তির পূণ্যলগ্নে কাঁথির ২২ (বাইশ) গজকেই জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলেন রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।
এদিন কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্পগুলির প্রচারে ‘দিদি কাপে’র আয়োজন করে স্থানীয় একটি ক্লাব। সেই খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের কারা মন্ত্রীকে দেখা গেল ব্যাট হাতে৷ অন্যদিকে মন্ত্রীকে পরাস্ত করতে বল হাতে হাজির খোদ জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী-পুত্র সুপ্রকাশ গিরি! যাকে বলে প্রকাশ্যে বাপ-বেটার লড়াই! অনেকেই ভেবেছিলেন, সুপ্রকাশের প্রথম বলেই কুপোকাত হবেন অখিল৷ কিন্তু সে ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে ব্যাট হাতে প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অখিল বোঝালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার প্রথম সৈনিক হিসেবে ২২ গজেও তিনি সাবলীল৷ দেখালেন বুড়ো হাড়ের ভেলকি৷
স্বভাবতই, ২২ গজের ময়দানে বাপ-বেটার টানটান লড়াইকে কেন্দ্র করে জমে ওঠে উদ্বোধনী ম্যাচ৷ হাজির হয়েছিলেন অগুণতি দর্শক৷ দিবারাত্রি নক আউট এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে কাঁথি শহরে এদিন সাধারণ মানুষের উত্তেজনাও ছিল চোখে পড়ার মতো৷ হাজির ছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী, কামারহাটির বিধায়ক তথা তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র, রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, চণ্ডীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ৷ ক্রিকেটের মাধ্যমে জনসংযোগ, শাসকের নয়া কৌশলের সাক্ষী থাকলেন শুভেন্দু অনুগামীরাও৷ কারণ, খেলাটা যে হচ্ছিল খোদ শুভেন্দুর ডেরাতেই৷