
কৌশিক বসু , দুর্গাপুর : ” তৃণমূল বিজেপিকে পুরোপুরি জায়গা ছাড়তে পারছে না , বাম-কংগ্রেসের আঁতাতকে নিশ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জায়গা করে দিতে এই আসন নিজেরা পরিকল্পিত ভাবে ছেড়ে দিয়েছে,যাতে আগামী দিনে বিজেপির ভোট বাম-কংগ্রেস পায় “,দুর্গাপুরে এসে সাগরদিঘীর নির্বাচন ফলাফল প্রসঙ্গে বিষ্ফোরক মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভানেত্রী লকেট চ্যাটার্জীর। বিজেপিকে আটকাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলের আঁতাত হচ্ছে , তবে বিজেপি একাই লড়বে, মন্তব্য বিজেপি নেত্রীর। বৃহষ্পতিবার দুর্গাপুরের গোপালমাঠে দলের কার্য্যকারিনী বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন লকেট চ্যাটার্জী। সাগরদিঘীর নির্বাচনী ফলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন গত নির্বাচনে এই আসনে তৃণমূল প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিল,দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। এবারে বাম-কংগ্রেস আঁতাতকে জায়গা করে দিতে পরিকল্পিত ভাবে তাদের ছেড়ে দিল এই আসন , এটা তৃণমূলের আগাম পরিকল্পনা ছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , সাগরদিঘী উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের জয়লাভের পর হুংকার ছেড়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন,”ইয়ে তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়,পিকচার আভি বাকি হ্যায়, এটা তো সবে শুরু , এখনও অনেক বাকি”। এই জয় প্রসঙ্গে বাম শীর্ষ নেতৃত্ব সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীদের কৃতিত্ব দিয়েছেন অধীর।
সাধারনত এ রাজ্যের রাজনীতিতে যে দল শাসন ক্ষমতায় থাকে , যে কোন উপনির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের জয় এখনও পর্যন্ত দেখে এসেছে মানুষ। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে সাগরদিঘী উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের জয় ব্যাতিক্রমী ঘটনা। আসন্ন পঞ্চায়েত ও আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে এই ফলাফল কোন প্রভাব ফেলতে পারে কি না , তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সাগরদিঘী। তবে দুর্গাপুরে এসে বিজেপি নেত্রীর মন্তব্য যে নি:সন্দেহে এই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের পারদ চড়িয়ে দিল , তা বলাই বাহুল্য।