
পরিবার প্রেমের বিয়ে না মেনে নেওয়ায় আত্মঘাতী কাঁকসার এক দম্পতি।
শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিলেন তাঁরা। সিদ্ধান্ত নেন, দু’জনে মিলে আত্মঘাতী হবেন। অবশেষে, তাই হলো। প্রণয়ের পরিনতি লাশ কাটা ঘরে। ভালোবাসা যে কোনও বাধা মানে না, জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করে গেলেন দুর্গাপুরের বাবনাবেড়ার এক দম্পতি।
প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন।
কাঁকসার বাবনাবেড়া রুইদাস পাড়া নিবাসী আকাশ আঁকুড়ের (২৪) সাথে ২ বছর আগে বিয়ে হয় পম্পা রুইদাসের। পম্পাও ওই এলাকারই বাসিন্দা। অভিযোগ ছেলের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি আকাশের পরিবার। বিয়ের পর থেকে নানান রকম অশান্তি লেগেই থাকতো। সূত্রের খবর, পম্পার বাপের বাড়ির সঙ্গেও পম্পাকে কোনওরকম যোগাযোগ রাখতে দিতো না আকাশের পরিবার। মাস তিনেকের অন্তঃসত্ত্বা পম্পার উপর অত্যাচারের মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছিল, যা সহ্য করতে পারছিলেন না আকাশ। প্রতিবেশীদের দাবি সেই কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন দুজনে।
মঙ্গলবার রাতে অন্তঃসত্ত্বা পম্পা ও আকাশের নিথর দেহ দুর্গাপুর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।
আর শহরের হাওয়ায় এখন একটাই কথা ভেসে বেড়াচ্ছে, স্ত্রীর উপর অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে নিজের প্রাণের বলি দিলেন স্বামী। শুধু আক্ষেপ একটাই, এমন ভালবাসা ‘অমর’ হয়ে থেকে গেলেও, মানুষ দুটো থাকে না..