দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান গ্রামবাসীদের। শীর্ষা গ্রামে বিধায়কের হস্তক্ষেপে মিটতে চলেছে ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি । দীর্ঘ টালবাহানার পর বিধায়কের হস্তক্ষেপে শীর্ষা গ্রামে মিটতে চলেছে ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি । মঙ্গলবার বিধায়কের মধ্যস্থতায় খনি আধিকারিকদের সাথে বৈঠকে অচল অবস্থা কাটে ।৩০ আগস্ট লাউদোহা পঞ্চায়েতের শীর্ষা গ্রামে ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটে । ক্ষতি হয় এলাকার প্রায় 28 টি বাড়ির । ইসিএল ঝাঁঝরা প্রজেক্ট এর খনিতে বিস্ফোরণের ফলেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । এরপরে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে সোচ্চার হোন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলি । স্থানীয়দের চাপে বাধ্য হয়ে খনি কর্তৃপক্ষ 15 টি পরিবারকে অস্থায়ী শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করে সে সময় ।বিভিন্ন সময় পুনর্বাসনের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্তরা বিক্ষোভ দেখান । কর্তৃপক্ষের সাথে ক্ষতিগ্রস্তদের বৈঠক হয় । পুনর্বাসনের আশ্বাস দিলেও সংস্থা তা পূরণ করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । এরপরে স্থানীয়দের ক্ষোভ চরম আকার নেই । এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । মঙ্গলবার ঝাঁঝরা প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষের সাথে নরেন্দ্রনাথ বাবুর উপস্থিতিতে গ্রামবাসীদের বৈঠক হয় । বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়ি তৈরি করে দেবে সংস্থা । সংস্কার করা হবে অল্প ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িগুলি । সেই সাথে এলাকার রাস্তাঘাটসহ পরিকাঠামো উন্নয়ন করার দায়িত্ব নেবে ইসিএল । ৩১ মার্চের মধ্যে প্রতিশ্রুতি মতো সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় । বৈঠক শেষে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান প্রথম দিন থেকে আমি ও তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ছিল । ক্ষতিগ্রস্তদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ছিল আমাদের আন্দোলন । এ দিনের বৈঠক শেষে নরেন্দ্রনাথ বাবু আরও বলেন শীর্ষা গ্রামের উন্নয়নে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৫ লক্ষ টাকা দিবেন বিধায়ক তহবিল থেকে । অবশেষে ন্যায় বিচার পেয়ে খুশি শীর্ষা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা ও । গ্রামের পক্ষ থেকে কুশ ঘোষ জানান, আমরা বিধায়কের উপর আস্থা রেখেছিলাম এবং সেই ফল আজ পেলাম। ECL কর্তৃপক্ষ বিধায়ক তত্ত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।