
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলে জায়গা নেই পার্থের।খোদ তার জেতা নির্বাচনী কেন্দ্রে দাবি রাসবিহারীর তৃণমূল বিধায়কের। এক সময়ের রাজনীতির বেতাজ বাদসা তথা তৃণমূলের মহাসচিব ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেহালা পশ্চিম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্গ বলেই পরিচিত ছিল। সেই পার্থ এখন দলের অস্বস্তি। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বর্তমান ঠিকানা এখন প্রেসিডেন্সি জেল। বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে পাহাড় প্রমান টাকা। এছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে একাধিক নেতা মন্ত্রীর নাম। এবার সেই কলঙ্ক ঘোচাতেই নতুন করে জনসংযোগে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। দিদির দূত নয় পার্থ। পার্থর বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে নতুন করে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। একথা ভেবেই গুটি সাজাছে নতুন তৃণমূল।
সম্প্রতি জনসংযোগ বাড়াতে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ এর সুচনা করেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় । বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার কর্মসূচি করতে হবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। কিন্তু সমস্যা তৈরি হল পার্থর কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমকে কেন্দ্র করেই। তাই পার্থ ছাড়া যৌথ নেতৃত্বের ওপর জোর দিচ্ছে তৃণমূল। এমনটাই স্পষ্ট করলেন রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশীস কুমার। পার্থ যে এখন তৃণমূলের কেউ নন তা স্পষ্ট করলেন তিনি।
এদিন বেহালায় কর্মসূচিতে দেবশীষ কুমার বলেন, বেহালা পশ্চিম বা বেহালা পূর্ব যে যেখান থেকেই জিতুক না কেন সবার উপরেই আছে দলনেত্রী। আমি রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে জিতেছি। প্রত্যেকটি জয়ের ক্ষেত্রেই আমাদের ব্যক্তিগত কোনও ক্যারিশমা নেই। সব জয় এসেছে ঘাসের উপর জোড়া ফুল চিহ্নের প্রতীক দেখে। দল যখন যাকে দায়িত্ব দেবে তখন সে দায়িত্ব পালন করবে এর বেশি কিছু নয়।
তবে কি এবার পার্থর সাথে দূরত্ব আরো লম্বা হচ্ছে তৃণমূলের? এককালের তৃণমূলের বিশ্বস্ত সৈনিক কি দলে ফেরার কোন রাস্তায় রাখলো না দল।