
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক, দুর্গাপুর : হাম-রুবেলা রোধে টিকাকরণেই জোর। প্রতিষেধক নেওয়ার বার্তা ছড়িয়ে দিতে শহর দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের বিনোদন পার্কে প্রচারে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক, কর্মী ও পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা।
কোভিড আবহে গত দু’বছর শিশুদের হাম এবং রুবেলা টিকাকরণ ব্যাহত হয়েছে। সাধারণত ৯ মাস বয়সেই শিশুদের এর প্রথম টিকা নিতে হয়। দ্বিতীয় টিকা মেলে ১৫ মাস বয়সে। তাই, অতিমারী শিথিল হতেই শিশুদের হাম ও রুবেলার টিকাকরণে জোর দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
লক্ষ্য একটাই হাম ও রুবেলা মুক্ত সমাজ। তাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা ৩০ নাগাদ এই সচেতনতামূলক প্রচার ও র্যালিতে সামিল হলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক, স্বাস্থ্যকর্মী সহ পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা। বনভোজন করতে আসা মানুষজনকেও সচেতন করা হয়।
২০২৩ সালের, ৯ই জানুয়ারি থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে শুরু হবে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ। তার আগে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি দুর্গাপুর মহকুমা জুড়েও চলছে প্রচার। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ডঃ দেবব্রত শাহানা, পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রাখি তিওয়ারি সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এদিনের এই প্রচারপর্বে উপস্থিত ছিলেন। “অভিভাবকদেরকেও অনুরোধ করছি ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে আসুন এবং ভ্যাকসিন করিয়ে নিন” দুর্গাপুর বাসীর কাছে আবেদন রাখি তিওয়ারির।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে যেখানে বাংলার হাজার ছয়েক শিশু আক্রান্ত হতো ও তাদের মধ্যে শতাধিক শিশু মারা যেত হামে, সেখানে ২০১৭ সালে ৩৯১০ টি শিশু হামে আক্রান্ত হয়, মারা যায় ১৮ জন। ২০১৮ সালে আক্রান্তের সংখ্যা (৪৮৮৬) কিছুটা বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা (৮) কমে যায়। কিন্তু করোনা-পরবর্তী সময়ে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বেড়েছে রাজ্যে। তাই হামের টিকাকরণ কর্মসূচিতে একশো শতাংশ সফল করতে চাইছে স্বাস্থ্যভবন। এ বারই প্রথম শিবির করে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে।