
নম্রতা সামন্ত , ৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : মাঘেই মেঘ-রোদের লুকোচুরি খেলা। সঙ্গে কমেছে শীতের দাপট। অবস্থা এমন যে কার্যত সরস্বতী পুজোর আগেই কেউ কেউ আবার ঘরে শীতঘুমে থাকা সিলিং ফ্যানটার সুইচও অন করে ফেলছেন। মাঘের শুরুতে শীতের এই করুণ অবস্থা দেখে মুখ ভার শীতপ্রেমীদের। আজ লক্ষীবারে মা সরস্বতীর আরাধনা। একটু আলাদাভাবে এদিন ভালোলাগার দিন। বলা হয়, এই দিন বাঙালির ভালোবাসার দিন। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের যা পূর্বাভাস, সেই শীতের কবলে পড়তে হবে না বাঙালিকে। অর্থাৎ এবার সরস্বতী পুজো তে আর শীত থাকছে না। ভোর ভোর হলুদ ছুঁয়ে স্নান করে দেবীর অঞ্জলী দিতে শীতের কবলে আর পড়ছে না।
যদিও এইবার শীতের এক আলাদাই ইনিংস আমরা দেখেছি, খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি শীতের ব্যাটিং।জানুয়ারি মাসের শেষ আর শীত পড়বে না , স্পষ্ট জানিয়েছে হাওয়া মহল।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে , আজ থেকে আগাম দুই দিন দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে রাজ্যে রাত্রের তাপমাত্রা কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না অর্থাৎ ঠান্ডা কম থাকবে। আরো ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে তো কমবে না। অতঃপর , ২৯ এবং ৩০ তারিখ পুনরায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ নিম্নমুখী হতে পারে। তবে সেটি দুই দিনের জন্যই প্রযোজ্য। উত্তরবঙ্গে আগাম পাঁচদিন সেইরূপ কোনো পরিবর্তন নেই। দুই বঙ্গে বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই।
দুটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বর্তমানে দেশে। একটি রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায়। অপরটি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু ও সংলগ্ন এলাকায়। একটি অক্ষরেখা রয়েছে যেটি উত্তর-পূর্ব আরব সাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অক্ষরেখাটি রাজস্থানের ঘূর্ণাবর্তের উপর দিয়ে এসেছে।মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে এখন উত্তর-পশ্চিম ভারতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চলছে। কোথাও হালকা বৃষ্টি, কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, আবার কোথাও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস। রয়েছে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম হিমালয়ের পার্বত্য এলাকার রাজ্যগুলিতে। উত্তরাখণ্ডেও হালকা বৃষ্টি ও সামান্য তুষারপাতের সম্ভাবনা। উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমতলে রাজধানী দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড় এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং কোথাও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ এই বৃষ্টি চলবে শনিবার পর্যন্ত। উল্টে মাঘেই বাঙালির কপালে জমছে বিন্দু বিন্দু ঘাম। ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোয় গোটা রাজ্যে তাপমাত্রা মোটের উপর বেশি থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। ঠান্ডার অনুভূতি বিশেষ থাকবে না। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্মনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।