
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই লড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত ২রা জানুয়ারী সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে নজরুল মঞ্চে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় নজরুল মঞ্চ থেকে।তবে ২রা জানুয়ারী ঐ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বদের গুটি কয়েক।ঐ মঞ্চ থেকে অভিষেক জানান আগামী ১১ ই জানুয়ারী থেকে এলাকার প্রত্যেক মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতে হবে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচী নিয়ে।তার আগে পুরশুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে গত শুক্রবার পুরশুড়ার সোয়ালুক বাজার থেকে ডিহিবাতপুর পঞ্চানন্দতলা পর্যন্ত এক মহামিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এই মিছিলে বহু তৃণমূল কর্মীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ার ম্যান জয়দেব জানা, সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়, শিখা দোলুই, পুরশুড়া ব্লক সভাপতি তপন সামুই, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোমিন মিদ্দ্যা, যুব নেতা সুবিনয় ভৌমিক, শ্রমিক নেতা অপূর্ব রাউত, মহিলা নেত্রী ঝিলিক পান, গোপাল রায়, প্রকাশ খাঁ প্রভৃতি নেতৃত্ব। তবে পুরশুড়ার বিজেপি নেতৃত্ব একটু কটাক্ষের সুরে জানান দিদির সুরক্ষা কবচ কি আবাস যোজনার বেনিয়মের দুর্নীতি,স্বজনপোষণ বন্ধ করতে পারবে? পঞ্চায়েত ভোটের আগে যা কিছুটা হলেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যাকফুটে ফেলেছে। তাহলে কি এই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ আবাস যোজনার বেনিয়ম, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগের ঝড় আটকাতে পারবে? বা এটা কি আবাস যোজনার দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর একটা চেষ্টা?তবে বিজেপির এই কটাক্ষ কে আগামী পঞ্চায়েত ভোটের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলেন পুরশুড়ার ব্লক তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোমিন মিদ্দ্যা।আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় আবাস যোজনার দুর্নীতি সম্পর্কে জানান রাজ্যে এই রকম কোন দুর্নীতি হয়নি। তবে তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৫০হাজার গরীব দুস্থ যাদের পাকা ছাদহীন ঘর সেই মানুষের নামের রেজিস্ট্রেশন করে প্রধানমন্ত্রী কে পাঠিয়ে ছিলেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মাত্র ১৯ লক্ষ মানুষের নাম গ্রহণ করেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বাংলায় যাদের বাড়িতে ছাদ নেই তাদের প্রত্যেকেই আবাস যোজনার ঘর ব্যবস্থা করবেন।