
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক,পান্ডবেশ্বর : শুক্রবার ২৫ শে নভেম্বর দিনটা ভারী অদ্ভুত ! একদিকে মমতা ব্যানার্জী খোঁজ করছেন শুভেন্দুর , অন্যদিকে মিঠুনের জনসভার প্রস্তুতির খবর নিতে সভাস্থলে যাচ্ছেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। হতে পারে কাকতালীয় , কিন্তু এই রাজনীতি কি দৃষ্টান্ত হবে ? হলে অন্তত রাজ্য রাজনীতির অসৌজন্যতার মরুভূমিতে মরুদ্যান হয়ে থাকুক এই দিন। বিগত বেশ কয়েক বছরে বঙ্গ রাজনীতিতে বিক্ষিপ্ত সৌজন্য বাদ দিলে বেশীরভাগ টাই কাদা ছোঁড়াছুড়ি ,কুকথার বর্ষন ও হিংসার রসায়ন । সেখানে ২/১ টা দিন ব্যতীক্রম হলেই বা ক্ষতি কি ?
শনিবার বিজেপির জনসভা লাউদোহার ঝাঁঝরায় ,যেখানে প্রধান বক্তা মিঠুন চক্রবর্তী। সেই সভাস্থলের প্রস্তুতি দেখতে হঠাৎই শুক্রবার সন্ধ্যেয় বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পৌঁছলেন। খোঁজখবর নিলেন সুবিধে অসুবিধের, প্রয়োজনে জল ,এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিলেন। তিনি এলাকার বিধায়ক , এলাকায় একটি জনসমাগম হবে , তাই তিনি খোঁজ নিতে গিয়েছেন, এমনটাই জানান তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আবহে যা বেশ আলোড়ন তুলেছে। এই ঘটনা স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকেও বেশ অপ্রস্তুতে ফেলেছে।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে যে ডেকোরেটরকে মঞ্চ বাধার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। এই অভিযোগ ওঠার পরেই নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর এই পরিদর্শন । যদিও এই ইস্যুতে বিজেপির বক্তব্য অন্যরকম। তৃণমূল বিধায়কের সৌজন্য মেনে নিয়েও বিজেপি নেতৃত্বের খোঁচা,” রাজ্যে পরিবর্তন হবেই,আসলে উনি বিজেপির কাছাকাছি আসতে চাইছেন”, বলছেন পান্ডবেশ্বরের আহ্বায়ক রূপক কুমার পাঁজা।