
নিজস্ব সংবাদদাতা,৯৯ বাংলা ডেস্ক : চলমান গাড়িতে সিট বেল্ট না পড়েই ভিডিও আপলোড করে দিল বিট্রিশ প্রধান। এই অভিযোগে শুক্রবার একশো পাউন্ড জরিমানা করা হল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের।সম্প্রতি গাড়িতে ল্য়াঙ্কেশায়ার যাওয়ার পথে একটি ভিডিও করে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন সুনক।
সেই ছবিতেই ধরা পড়ে, গাড়ির পিছনের আসনে বসে থাকার সময় সিট বেল্ট পরেননি তিনি। যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশের নজরে আসে। তার পরেই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোটা জরিমানা করে নোটিস ধরায় ল্যাঙ্কেশায়ার পুলিশ। বস্তুত ,ইংল্যান্ডে সিট বেল্ট না পরলে ১০০ পাউন্ড জরিমানা করতে পারে পুলিশ। ২৮ দিনের মধ্যে এই জরিমানা মিটিয়ে দিতে হয়। বিষয়টি আরো ঘোলা হলে জরিমানা প্রায় ৫০০ পাউন্ড হতে পারে।
ঋষি সুনককে জরিমানা করার বিষয়টি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে ল্য়াঙ্কেশায়ার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, ল্য়াঙ্কেশায়ারে একটি চলন্ত গাড়িতে লন্ডনের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সি এক ব্যক্তি সিট বেল্ট না পরেই বসে রয়েছেন। এরই ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শর্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্ট জরিমানার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একবার গত এপ্রিল মাসে কোভিড বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ঋষি সুনক, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং তাঁর স্ত্রীকে জরিমানা করেছিল পুলিশ। ২০২০ সালের জুন মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্মদিনের পার্টিতে এই বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল।
প্রসঙ্গত, সুনক দেশে একশোটিরও বেশি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য তাঁর সরকারের নতুন লেভেলিং আপ ফান্ড ঘোষণার প্রচার করার জন্য একটি ভিডিয়ো করেছেন। চলন্ত গাড়ির পিছনের সিটে বসেই সেই ভিডিয়োটি করেন সুনক। আর ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের সময় সিট বেল্ট খুলে নেন। আর সেটাই তাঁর ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। এদিকে সুনকের এই কাজের জন্য তাঁকে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েনি লেবার পার্টি। লেবার পার্টির মুখপাত্র বলেছেন, “ঋষি সুনক জানেন না কীভাবে সিট বেল্ট, তাঁর ডেবিট কার্ড, ট্রেন পরিষেবা, অর্থনীতি, এই দেশ পরিচালনা করতে হয়। এই তালিকা প্রতিদিন বাড়ছে।”