
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন স্বামী। এর পরে রাগের বশে প্রথমে মারধর করেন ওই প্রেমিক যুবককে। অভিযোগ, পরে গাছে বেঁধে কুড়ুল কোপে মাথা কেটে নেন। ঘটনার খবর পায় স্থানীয় থানার পুলিশ। তারা অভিযুক্তকে বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের সোনুভা থানা এলাকার লঞ্জো গ্রামের। অভিযুক্তের নাম বিশ্বনাথ সুন্ডি। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পাশের গ্রামের বাসিন্দা যুবক শ্যামলাল হেমব্রমের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। প্রমাণ না থাকলেও স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন বিশ্বনাথ। কিন্তু এদিন বাড়ি ফিরতেই দু’জনকে ‘ঘনিষ্ঠ’ অবস্থায় দেখে ফেলেন। এবং মেজাজ হারান তিনি। এর পরেই মারতে মারতে শ্যামলালকে ঘর থেকে বের করেন তিনি। বাইরে এনেও বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। অভিযোগ, পরে গাছে বাঁধেন যুবককে। তার পর রাগের বশে কুড়ুল দিয়ে এক কোপে ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেন শ্যামলালের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।পরে ঘটনার কথা জানতে পারে স্থানীয় থানা। তারা এসে শ্যামলালের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। খুনে ব্যবহৃত কুড়ুলটিও উদ্ধার করা হয়। এইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খুনে অভিযুক্ত বিশ্বনাথ সুন্ডিকে।
পরকীয় প্রেমের ভয়ংকর পরিণতির ঘটনা এরাজ্যও দেখেছে গত ডিসেম্বরে। বউদির সঙ্গে পরকীয়ায় পথের কাঁটা ছিল স্ত্রী। সেই কারণেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ঘোড়ামারা মাঠপাড়া এলাকায়।